স্বদেশ ডেস্ক:
এবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি শাংফুকে বরখাস্ত করেছে চীন। জনজীবন থেকে আড়ালে চলে যাওযার প্রায় দুই মাস পর শাংফুকে আনুষ্ঠানিকভাবে বরখাস্তের ঘোষণা দিলো প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সরকার। এর আগে চলতি বছরের জুলাই মাসে পদচ্যুত করা হয়েছিল পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাংকে। খবর বিবিসির।
চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভির প্রতিবেদনে মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) জানানো হয়, প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি শাংফুকে আনুষ্ঠানিকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে তাকে অপসারণের কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি এবং তার স্থলাভিষিক্ত হিসেবে এখনও কারো নাম ঘোষণা করা হয়নি।
সিসিটিভি জানিয়েছে, লি শাংফুকে মঙ্গলবার দেশটির মন্ত্রিসভা স্টেট কাউন্সিলের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। চীনের আইনসভা ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের স্ট্যান্ডিং কমিটি তার অপসারণ অনুমোদন দিয়েছে।
এইদিন পদচ্যুত পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাংয়ের অপসারণও অনুমোদন দিয়েছে ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস। গত জুলাইয়ে চাকরির মাত্র ৭ মাসের মাথায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারিত হন কিন গ্যাং।
এই দুজনকেই প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ঘনিষ্ঠ বলে মনে করা হতো।
কিনকে অপসারণে সরকারিভাবে কোনো ব্যাখ্যা না দেওয়া হলেও জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রদূত থাকাকালীন তার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল।
এদিকে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ব্যাপারে জানা গেছে, তার বিরুদ্ধে সামরিক সরঞ্জাম কেনা নিয়ে দুর্নীতির সন্দেহে তদন্ত শুরু হয়েছে আগেই।
সর্বশেষ গত ২৯ জুলাই শাংফুকে জনসম্মুখে দেখা গিয়েছিল। সেদিন বেইজিংয়ে আফ্রিকান দেশগুলোর সঙ্গে চীনের নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী শাংফু।
জেনারেল লি শাংফু একজন মহাকাশ প্রকৌশলী। একটি স্যাটেলাইট ও রকেট উৎক্ষেপণ কেন্দ্রে নিজের কর্মজীবন শুরু করেছিলেন এবং সেখান থেকে চীনের সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ পদে আসীন হয়েছেন। একইসঙ্গে রাজনৈতিক অভিজাতদের মধ্যে নিজের জায়গা করে নিয়েছিলেন।
২০১৮ সালে তিনি সামরিক বাহিনীর সরঞ্জাম উন্নয়ন শাখার প্রধান পদে ছিলেন। ওইসময় রাশিয়ার কাছ থেকে যুদ্ধবিমান ও অস্ত্র কেনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় নাম উঠিয়েছিলেন জেনারেল লি শাংফু।